শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
লোকলজ্জার কাছে হার মেনেছে মায়ের মমতা, স্নেহের আঁচল। বানিয়েছে তাকে পাষাণী তাইতো নিজের গর্ভজাত সন্তানকে ঠেলে দিয়েছিল মৃত্যুর মুখে- ফেলে গিয়েছিল নির্জন শ্মশানঘাটে।’
এমটাই ঘটেছে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জের গাগলাজুর গ্রামের চৌরাপাড়া শ্মশানঘাটে। নির্জন শ্মশানঘাট থেকে জীবিতএক নবজাতককে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুল তালুকদার নবজাতক পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । নবজাতকটির বয়স এক বা দুই দিন হতে পারে।
এলাকাবাসী জানায়, অপকর্মের ফসল নিষ্পাপ নবজাতক শিশুটিকে কেউ হয়তো নির্জন জায়গা পেয়ে ফেলে গেছে। সময়মতো নবজাতক শিশুটিকে খুঁজে পাওয়ায় সে প্রাণে বেঁচে গেছে। না হলে হয়তো নবজাতকটি কোন বন্যপ্রাণীর খাবারে পরিণত হতো।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুল তালুকদার বলেন, মান্দারুয়া গ্রামের সরাজ মিয়ার স্ত্রী জয়বানু ও ছেলে তপন মিয়া ওই শশ্মানঘাটের পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নবজাতকটি তাদের চোখে পড়ে। শ্মশানঘাটটি উঁচু স্থানে হওয়ায় এবং কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়াতে চারদিকে পানি দিয়ে ঘেরা। নবজাতকটির আশপাশে কোনো লোকজন দেখতে না পেয়ে তারা নবজাতক শিশুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে এলাকার লোকজন নবজাতকটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেন, নবজাতক শিশুটি মেয়ে। নবজাতকটি বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে বলে জেনেছি। মঙ্গলবার রাত ১১ টা পর্যন্ত নবজাতকটির মা-বাবার সন্ধান মেলেনি। এলাকাবাসীর ধারণা, লোক-লজ্জার ভয়ে কেউ হয়তো নির্জন জায়গায় নবজাতকটি ফেলে গেছে। তবে সরাজ মিয়ার পরিবার তাকে নিজেদের কাছে রেখে সেবাযত্ন করছেন। কৌটার দুধ কিনে এনে খাওয়াচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আজ বুধবার সরাজ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে নবজাতকটিকে দেখে তার লালন-পালনের বিষয়ে কি করণীয় তা ঠিক করা হবে। সরাজ মিয়ার স্ত্রী বলেন, নবজাতকটির কোন দাবিদার না পেলে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আমি নবজাতকটিকে লালন-পালনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জিকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়মানুযায়ী নবজাতকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।